এই ডাক বাক্সে সাধারণত ওয়াটার-প্রুফ পোস্টকার্ডে চিঠি লিখে ফেলে আসনে ডাইভাররা। স্থানীয় লোক কম, বেশিরভাগই পর্যটকেরা এই বাক্সে চিঠি ফেলতে আসেন। এই ধরনের ওয়াটার-প্রুফ পোস্টকার্ড সুসামি বিচের বেশ কয়েকটি দোকানে পাওয়া যায়। সঙ্গে তেল-রঙের মার্কার পেন। ওই বিশেষ কলমে চিঠি ও ঠিকানা লিখে পানির তলার পোস্টবক্সে ফেলে দিলেই যথাস্থানে পৌঁছে যাবে চিঠি।
কয়েকদিন অন্তরই স্থানীয় পোস্ট অফিসের কর্মীরা পানির তলায় গিয়ে পোস্টবক্স থেকে চিঠি সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন।
১৯৯৯ সালে কুমানো কোডো তীর্থযাত্রাকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় সুসামির কোনও বিশেষ আকর্ষণ ছিল না। তৎকালীন স্থানীয় পোস্টমাস্টার তোশিহিকো মাৎসুমোতো প্রস্তাব দেন পানির তলায় পোস্টবক্স রাখার। সেই থেকেই চলছে এই ‘আন্ডারওয়াটার পোস্টবক্স’।
প্রতি ছ’মাস অন্তর এই পোস্টবক্সটিকে তুলে নিয়ে এসে অন্য একটি পোস্টবক্স রাখা হয় পানির তলায়। সারাই করে, রঙ করে বদল করা হয় পুরনো পোস্টবক্সটি।
২০০২ সালে বিশ্বের ‘ডিপেস্ট আন্ডারওয়াটার পোস্টবক্স’ হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ জায়গায় করে নিয়েছে সুসামি বে-এর এই আকর্ষণ।
সূত্র : এবেলা
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।